পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিগত সময়ের মতো পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সংস্থার মতামতে নয়, এবার ভুক্তভোগীদের পরামর্শে নেওয়া প্রকল্প অনুযায়ী কাজ করা হবে।
খুলনার দাকোপে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় রক্ষা করা হলো লক্ষ্মীখোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়ি বাঁধ। নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচণ্ড স্রোতে হঠাৎ করে লক্ষীখোলা ওয়াপদা রাস্তাটি নদী গর্ভে ধসে পড়ে। দুই দুইবার ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাউবো বেড়িবাঁধটি আটকাতে সক্ষম হয়।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। গত চার দিনে নদীর পানি ৮৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। তবে নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের দুই উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই এবং চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বাঁধ ভেঙে ও পাড় উপচে দুই উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর। দুর্ভোগে রয়েছেন প
গাইবান্ধায় ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি আজ রোববার সকাল থেকে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে।
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা জেলার অভ্যন্তর ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত চলমান থাকার পূর্বাভাসও রয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ফেঁপে উঠেছে পদ্মা। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চার ইউনিয়নের পদ্মার চরের অন্তত ৩৪টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙন ও বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে তারা।
হরিহর নদের পানি উপচে তলিয়ে আছে যশোরের কেশবপুর শহর। তিন দিন ধরে বৃষ্টি নেই তবুও নামছে না পানি। বসত-ঘর, অলি-গলি তলিয়ে আছে পানিতে। এমনকি শহরের কাঁচা বাজারও থই থই করছে পানিতে। কাঁচা বাজারের আড়তসহ মাছ ও চারানি বাজারে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক বসতভিটা। ফসলি জমি, বসত ভিটা হারিয়ে অনেকে এখন নিঃস্ব। নদীভাঙন ঠেকাতে সরকারের সাহায্য চান ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ধীরগতিতে নামছে পানি। গত চার দিনে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি নেমেছে। বেশির ভাগ খালে বাঁধ থাকায় পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পানি না নামলে জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষকে ভুগতে হবে। দ্রুত এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি তাঁ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম মেয়র থাকাকালে নগরীর দখল হওয়া নদ-নদী, খাল, জলাশয় রক্ষায় তাঁর অভিযানের বিষয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হতো। সেই আতিকুলের বিরুদ্ধে এবার উঠেছে নদ দখলের অভিযোগ।
কুমিল্লার বন্যা কবলিত ১৪টি উপজেলার মধ্যে বেশ কিছু উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে দুটিতে। অপরিবর্তিত রয়েছে আরও দুটি উপজেলা। তবে গোমতি নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হওয়ায় স্বস্তিতে আছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা থেকে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দী মানুষের মাঝে। এদিকে মনু ও ধলাই নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলেও বড় কোনো বন্যার শঙ্কা আপাতত নেই বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার।
ভারী বর্ষণ ও বন্যার পানির চাপে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে এর ১০ থেকে ১২টি স্থানে বড় বড় ছিদ্র ও কমপক্ষে ৪০টি স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামতের চেষ্টা করছেন স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপ এবং ভারী বৃষ্টিপাত জনিত কারণে দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সুরমা–কুশিয়ারা, ধলাই, মনু, খোয়াই, পূর্বাঞ্চলের গোমতী, মুহুরি ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, হালদা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র পানির তোড়ে হু হু করে বাড়ছে হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি। সবগুলো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহর রক্ষা বাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে পানি। ফলে হবিগঞ্জ শহরসহ খোয়াই নদের দুই পারের মানুষ খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।